টানা ২-৩ সপ্তাহ ধরে একই মাস্ক ব্যবহারের ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। কিছুদিন আগে থেকেই ভারতে এর দাপট বাড়তে থাকলেও এখন বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে এই ছত্রাকের অবস্থান।
করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। ভাইরাসকে পরাস্ত করতে এখন প্রধান অস্ত্র তিনটি। প্রথমত পরতে হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং মেনে চলতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধি। তবেই আমরা অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হতে পারব। কিন্তু জানেন কি মাস্কের ভুল ব্যবহার ডেকে আনছে নয়া বিপদ। যার নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস।
এইমসের স্নায়ুবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক পি শরৎচন্দ্র হালের মতে, অপরিচ্ছন্নতার কারণে এই ছত্রাক জন্মায়। তাই মাস্ক (Mask) একটানা ব্যবহার করলে তাতে জন্মাতে পারে ছত্রাক। তার থেকে অনায়াসে ছড়াতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তাই প্রতিদিন ভাল করে মাস্ক সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলেই মত ওই চিকিৎসকের। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস জন্ম নিচ্ছে বলেই মত চিকিৎসক সুরেশ সিং নারুকারেরও(ভারতীয় ডাক্তার)। দীর্ঘদিন ধরে একই মাস্কের ব্যবহারের পাশাপাশি হাওয়া চলাচল করে না এমন ঘরে বসবাসের ফলেও শরীরে থাবা বসাতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
কী লক্ষণ এই ছত্রাকের?
১. শারীরিক ক্লান্তি অনুভূত হবে।
২. ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকবে।
৩. খিদে কমবে অথবা একেবারেই পাবে না।
৪. এর প্রভাব বেশি হলে পুঁজ বেরবে।
৫. কোনও ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে না ওঠা।
তাই চিকিৎসকদের মতে, চোখে লালভাব, যন্ত্রণা, জ্বর, নাক দিয়ে কালো রংয়ের তরল কিংবা রক্ত বেরনো, মাথা যন্ত্রণা, সর্দি, কাশি, রক্তবমির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই সাবধান হোন। তড়িঘড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (Black Fungus) হানা রুখতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোনও বিকল্প হতেই পারেনা। তাই প্রতিদিন ধোয়া মাস্ক এবং পোশাক ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যাঁরা স্টেরয়েড নেন তাঁদের প্রতিদিন রক্তের শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করে দেখার কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।