০৪ মে ২০২১, মঙ্গলবার সারাদেশে ৬৪টি মনিটরিং টিম কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১৫৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫,৭৩,০০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে ৬টি মনিটরিং টিম কর্তৃক ১০টি পাইকারী ও খুচরা বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালিত হয়। রাজধানীর এসকল বাজার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার।
রাজধানীর কাপ্তান বাজার, পোস্তগোলা, জুরাইন, মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, ভাটারা,গুদারাঘাট, ধূপখোলা বাজার, গেণ্ডারিয়া, মিরপুর ৬নং বাজার এলাকার কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, ফলের আড়ত, ফার্মেসীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে তরমুজ, সবজি, পেঁয়াজ, ছোলা,ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি,খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যৌক্তিকমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়। একইসাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা সঠিকভাবে প্রদর্শন, নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রয়,পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের সাথে বিক্রয় রসিদের গরমিল, সঠিক ওজন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও ঔষধ, নকল পণ্যসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
তদারকিকালে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও পণ্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে পরিলক্ষিত হয় এবং সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল,চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। এসময় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী দামে পণ্য বিক্রয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করার অপরাধে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দোকান ও ফার্মেসীকে জরিমানা আরোপ করা হয় এবং এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকাসহ সারাদেশে টিসিবি’র সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্যসমূহ (ট্রাক সেল) যথাযথ নিয়ম মেনে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।