একজন ক্রেতা অনলাইনে চা পাতির অর্ডার করে চা পাতির বদলে সেখানে কাঠের গুড়ো পেয়েছেন। তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন তা বুঝতে পেরে ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেন।
জিকে আলামীন নামের একজন ভোক্তা তিনি ‘ভোক্তাকণ্ঠ’কে তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেন এভাবে,
“অনলাইনের মাধ্যেমে মঈনুল নামের এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়। তার মঈনুল টি হাউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান আছে সিলেটে। আমি তার কাছে ১২০ প্যাকেট চা পাতি অর্ডার করি । সে কুরিয়ারের মাধ্যেমে মালামাল প্রেরণ করে কিন্তু চা পাতির প্যাকেট গুলো খুলে দেখি চা পাতির বদলে কাঠের গুড়ো দিয়েছে।”
উনি এরপর ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রেও এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। তিনি অনলাইনে এরকম প্রতারিত হবেন বুঝতে পারেননি , তাই তিনি উনার নেজ্য অধিকার বুঝে পেতে অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগটি করেন।
এইরকম অনেক ক্রেতা অভিযোগ করছেন ওয়েবসাইটে/ফেসবুকে প্রদর্শিত ছবির সঙ্গে পণ্যের মিল নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যথাযথ তদারকি না থাকায় এমন প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কেন্দ্রে অভিযোগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্রেতা এ তথ্য না জানায় এ ধরনের কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। অনলাইন শপিংয়ের নিয়মিত কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে রকম পণ্যের ছবি দেখে তারা অর্ডার করেছেন, সে রকম পণ্য পাঠানো হচ্ছে না। ক্ষেত্রভেদে খুবই নিন্মমানের পণ্য আসছে।
ফেসবুকে কেনাকাটা করতে হলে একই ধরনের অন্যান্য পেজের সঙ্গে তুলনা করে ধারণা নেওয়া উচিত এবং নিজের পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিশ্বাসযোগ্য পেজগুলো থেকে অর্ডার দেওয়া ভালো। কোনো পণ্য কিনতে হলে যদি পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধের সুযোগ না থাকে অর্থাৎ অগ্রিম মূল্য দিতে হলে অর্ডার নিশ্চিতকরণের কোনো উপায় আছে কি না জেনে নিন। এসএমএস-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে বলতে পারেন। কোনো পণ্য কিনলে পণ্য বাবদ ক্রয়-রসিদের স্ক্যান কপি চাইতে পারেন এবং অনুরোধ করুন পণ্যের সঙ্গে যেন মূল কপিটি পাঠানো হয়। পণ্যটি কীভাবে পাঠানো হবে এবং কোন মাধ্যমে তা আগেভাগেই নিশ্চিত হতে হবে। মনে রাখা জরুরি, আইনের আশ্রয় নিতে গেলে কিন্তু প্রমাণ থাকা চাই।