নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বপ্ন ‘কষ্টের টাকায় শ্রেষ্ঠ বাজার’ এই স্লোগানে পণ্য বিক্রি করলেও ক্রেতাদের দিচ্ছেন মেয়াদ উত্তীর্ণ মিষ্টি। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় উৎপাদনের তারিখ থেকে তিন দিন পর্যন্ত রাখা যায় রসের মিষ্টি। সেই রসের মিষ্টি তে ১০ দিনের মেয়াদ লাগিয়ে বিক্রি করছে স্বপ্ন।
রবিবার নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমন্ডির ৪নং সড়কে স্বপ্নের আউটলেটে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এসময় আউটলেটে ক্রেতাদের জন্য সাজিয়ে রাখা রসের মিষ্টির উৎপাদন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ জানতে চান ভোক্তা কর্মকর্তারা। দেখা যায়, রসের মিষ্টির উৎপাদন তারিখ থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় বেধে দেয়া হয়েছে ১০ দিন।
কিন্তু স্বাভাবিকভাবে রসের মিষ্টি উৎপাদনের তারিখ থেকে তিন দিন পর্যন্ত সংরক্ষণে রাখা যায়। সেখানে স্বপ্ন রাখছে ১০ দিন। এতে মিষ্টির গুণগতমান নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ভোক্তার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মিষ্টির মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ বাড়িয়ে বিক্রির অপরাধে অধিদপ্তরের ৩৭ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নগদে সেই টাকা আদায় করা হয়। প্রাথমিকভাবে স্বপ্ন সুপার সপের দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপককে সতর্ক করে দেন ভোক্তার কর্মকর্তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৭ ধারায় বলা রয়েছে:
পণ্যের মোড়ক, ইত্যাদি ব্যবহার না করা: কোন আইন বা বিধি দ্বারা কোন পণ্য মোড়কাবদ্ধভাবে বিক্রয় করার এবং মোড়কের গায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, ব্যবহারবিধি, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করলে অনুর্ধ্ব এক বছরের কারাদণ্ড বা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মো. মাগফুর রহমান।
আরইউ