ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উভয়ের জন্যই ২৬০০ কেজি বা ৬৫ মণ মরশুমি ফল ‘হাড়িভাঙা আম’ উপহার পাঠিয়েছেন।
ফের ‘আম কূটনীতি’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ভুটানের রাজার পর এবার সৌহার্দ্য প্রদর্শনের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন মোদি-মমতা। রবিবার দুপুরে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টের ‘নো ম্যানসল্যান্ডে’ উপহারের আমের প্যাকেট এসে পৌঁছেছে। ভারতে নিযুক্ত কলকাতার প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মহম্মদ সানিউল কাদেরের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
এর আগে, শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের সহকারী সচিব মহম্মদ জাবের হায়দারের সই করা একটি চিঠিতে জানানো হয়েছিল, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রবিবার আম পাঠানো হবে। সেই চিঠিতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ওই ভিভিআইপি উপহারসামগ্রী বেনাপোল (Benapole) স্থলবন্দর দিয়ে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। উপহার হস্তান্তরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক মীর আলিফ রেজা, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার অনুপম চাকমা, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুল জলিল, উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার, নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, সহকারী কমিশনার কল্যাণ মিত্র, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান ও BGB’র সদস্যরা।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার অনুপম চাকমা জানান, বাংলাদেশ সরকারের উপহারের ২৬০০ কেজি আম ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে। সকালে উপহারের আমগুলো বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছলে দ্রুত কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, জুনের ৩০ তারিখ ভুটানের (Bhutan) রাজা লোটে শেরিংকে পাঠানো হাসিনার পাঠানো উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ২০০০ কেজি আম, কাঁঠাল-সহ মোট ১৫০ বাক্স মরশুমি ফল। আর এবার ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্য স্বরূপ আম এবং অন্যান্য ফল পাঠালেন হাসিনা। প্রসঙ্গত, রাজনীতির বাইরে হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় সহোদরার মতো সম্পর্ক। প্রতি বছরই উপহার হিসেবে দুই বাংলার মধ্যে আম-ইলিশ-শাড়ি এসব আদানপ্রদান হয় উভয়ের মধ্যে। আমের মরশুমে এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।