রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়া নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার এলাকাবাসীর মনে। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্মাণকাজ না হলে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত দিতে হবে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান থেকে জানা গেছে।
উক্ত রাস্তা নির্মাণের মধ্য দিয়ে এলাকার প্রায় ৫/৭টি গ্রামের মানুষের মেলবন্ধন সুনিশ্চিত ও দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি কয়েক হাজার মানুষের স্কুল, কলেজ ও হাট-বাজারসহ বিভিন্ন সামাজিক স্থাপনার ব্যবহার বিস্তারের ব্যাপারে কথা বলেন কলাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার চিত্ত সরকার। তিনি আরও জানান, রাস্তা নির্মাণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তারই এলাকার নিরোদ বালা ও রণদা বালা। যার কারনে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের আশা পূরণে ব্যাঘাত ঘটেছে। তাছাড়া অতিসত্তর এই রাস্তাটি নির্মাণের আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
রাস্তা নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য কলাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার চিত্ত সরকারের বাড়ি থেকে শুরু করে উপেন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়ক পর্যন্ত মোট ১৬শ মিটার।
বেশ কিছুদিন আগে রাস্তার কাজ শুরু হলেও স্থানীয় নিরোদ বালা ও রণদা বালার বাধার মুখে পড়তে হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। চিত্ত সরকারের বাড়ি থেকে উত্তর দিকে ৩শ মিটার রাস্তার নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার পরপরই এই ঘটনা ঘটে। এ কারণে অত্যন্ত ক্ষোভের মধ্যে রয়েছে উক্ত এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে জানা গেছে, নিরোদ বালা ও রণদা বালা সরকারি জায়গা কে নিজস্ব জায়গা বলে দাবি করে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণে বাধা দিয়ে যাচ্ছেন। এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে বলে জানান কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইকেল ওয়া। তিনি জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাস্তা নির্মাণ করা না হলে রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত চলে যাবে।
তাছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উক্ত বিষয়ে তদারকি করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তহশিলদারকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যাটি শেষ করে রাস্তা নির্মাণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কালের কণ্ঠ/এসএমআই/এসএইচ