আজ ৬ মে সোমবার, নগর ভবনে আয়োজিত ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাইদ খোকন ও মাংস ব্যবসায়ীদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে দেশি গরুর মাংসের দাম সর্বোচ্চ ৫২৫ টাকা, বোল্ডার গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি ৫০০, মহিষ ৪৮০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকা পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা এসেছে। যদিও, এ মুহূর্তে বাজারে গরুর মাংস ৫৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও তা ৫৬০ টাকা থেকে ৫৭৫ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। ২০১৮ সালের রোজায় মাংসের দাম ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সে বিবেচনায় মাত্র এক বছরের ব্যবধানে মাংসের মূল্য ৭৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজকের বৈঠকে ঢাকা মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সুপারশপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম দাবী করেন, রাজধানীর বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা নির্ধারিত খাজনার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আদায় করায় মাংসের দাম বেড়ে যায়। তিনি আরও দাবী করেন ১০০ টাকার খাজনা ১০০০ টাকাও রাখা হচ্ছে, এক্ষেত্রে তিনি চাঁদাবাজদের কথা উল্লেখ করে বলেন গরুপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা হচ্ছে বর্তমানে।
মেয়র সাইদ খোকন উপস্থিত আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘মাংসের পুনঃনির্ধারিত মূল্যের সিদ্ধান্ত সবাই মেনে চলবেন। কেউ যদি এর চেয়ে বেশি দাম রাখেন তাহলে সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। নির্ধারিত এই দামে সুপারশপেও মাংস বিক্রি করা হবে।’