‘একদিকে খাবার খাওয়ার যোগ্য না, তার উপর নিজেদের করা মূল্য তালিকার চেয়েও বেশি নিচ্ছে বিলে।’- আমন্ত্রণ রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন লক্ষীপুরের বাসিন্দা অনতু দাস।
তিনি বলেন, ‘গত ১৯ মে রোজ বুধবার আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় আলেকজান্ডার কলেজ রোড সংলগ্ন আমন্ত্রণ রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে যাই। মেনুকার্ড দেখে মোরগ পোলাও অর্ডার করি, যার বিক্রয় মূল্য প্রতি প্লেট মেনু কার্ড মোতাবেক ১৩০ টাকা। আধা ঘন্টা অপেক্ষার পর বাসি ঠান্ডা পোলাও পরিবেশন করে। কিছুটা খাওয়ার পর বুঝতে পারি এটি খাওয়ার অনুপযোগী। কাউন্টারে বিল দিতে গেলে ১৩০ টাকার মোরগ পোলাও ১৫০ করে চার্জ করে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, মেনু কার্ডে ১৩০ টাকা দেওয়া আছে তবে আপনি ১৫০ টাকা নিচ্ছেন কেন? উত্তরে উনি বলেন মোরগের দাম বাড়তি যার জন্য ১৩০ টাকা মোরগ পোলাও ১৫০ টাকা। আমি বললাম মেনু কার্ড পরিবর্তন করেন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরেও উনি ১৫০ টাকা করেই বিল রাখলেন।’
ভোক্তাদের অভিযোগ দাখিলে সচেতনতা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সঠিক জ্ঞান এই ধরনের প্রতারণা গুলোকে কমিয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাই কিছু আইন জেনে রাখা জরুরি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী বিক্রেতার অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা, প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করা, অবহেলা প্রভৃতি কারণে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন ভোক্তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ থেকে ৪০ নম্বর ধারাগুলোয় বলা হয়েছে, সেবার মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্য দাবি করা, পণ্যের গায়ে ধার্য করা মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অপরাধ এবং একধরনের প্রতারণা। যা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আইন সম্পর্কে জানুন এবং এই ধরনের তথ্য পেতে ভোক্তাকণ্ঠ -এর সাথে থাকুন।
আরো পড়ুনঃ নিম্নমানের খাবার এবং ভোক্তা প্রতারণার বড় কারিগর ক্যাফে দর্বার
চট্টগ্রামে মেসার্স আরব আমিরাত ফার্নিচার হাউস ঠকাচ্ছে ক্রেতাদের