নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোজ্যতেল সরবরাহে অনিয়ম এবং দামে অসংগতি পাওয়ায় তিন কোম্পানিকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে তলব করা হয়েছে।
এস আলম গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং টিকে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়।
সোমবার অধিদপ্তরের উপপরিচালক আফরোজা রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে ৩০ মার্চ সকাল ১০টায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাপক্ষে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কারখানা পরিদর্শন করা হয়। সে সময় দেখা গেছে কোম্পানিটি ভোজ্যতেলের সরবরাহের পরিমাণ ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে অনেক কমিয়েছে। অর্থাৎ বাজারে ঠিকমতো তেল সরবরাহ করেনি কোম্পানিটি। এ কোম্পানি ফেব্রুয়ারিতে ১৪ হাজার ৩৮ টন তেল সরবরাহ করলেও মার্চে করেছে মাত্র আট হাজার ২৬৩ টন।
গত ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম গ্রুপের কারখানায় বেশকিছু অনিয়ম পাওয়া যায়। এরমধ্যে তেলের ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, মেয়াদ ও ড্রামপ্রতি মূল্য ইত্যাদির উল্লেখ ছিল না। এছাড়াও তেল রিফাইনারি ও বোতলজাতকরণ সেকশন বন্ধ ছিল। পাশাপাশি বোতলজাত পাঁচ লিটারের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৩৫ টাকা মুদ্রিত ছিল। যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি।
এরপর গতকাল (২৭ মার্চ) আবারও ওই কারখানা পরিদর্শন করে ভোক্তা অধিদপ্তর। সে সময় তেল রিফাইনারি ও বোতলজাতকরণ সেকশন চালু এবং মোড়কজাত বোতলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে এমআরপি উল্লেখ থাকলেও সরবরাহকৃত এসও’তে একক মূল্য উল্লেখ করার নির্দেশনা মানা হয়নি। এসও হস্তান্তর হয়ে মিলে আসার প্রমাণ পাওয়া যায়। যা বেআইনি।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে এস আলমের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে পাওয়া অনিয়মের ব্যাখ্যা যাওয়া হয়েছে। তাদের কারখানায় ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ নেই। তেল রিফাইনারি ও বোতলজাতকরণ শাখা বন্ধ। ৫ লিটারের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৩৫ টাকা লেখা, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।
গত ১৩ মার্চ এস আলম গ্রুপের ওই কারখানা পরিদর্শনে এসব অনিয়ম পাওয়ার পর ২৭ মার্চ আবারও পরিদর্শন করা হয়। দ্বিতীয় বার দেখা যায়, সরবরাহ আদেশ বা এসওতে একক মূল্যের উল্লেখ নেই। নিয়মবহির্ভূতভাবে এসওগুলো কারখানায় আসার আগে হাতবদল হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জে টিকে গ্রুপের কারখানায় পাওয়া অনিয়ম সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানি ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭ হাজার ৩৭১ টন পাম তেল বিপণন করলেও মার্চে এসে তা কমে ২১ হাজার ১১৯ টনে নামে। সরবরাহ কমে যাওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ৩০ মার্চ টিকে গ্রুপের প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এসআর