বাগেরহাটের একটি গ্রামের শিশুকে পাঁচ বছর ‘সশ্রম কারাদণ্ড’ দিয়েছেন বিচারিক আদালত। শিশুটিকে ‘সশ্রম কারাদণ্ড’ দেয়ার বিষয়টি নজরে এলে আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মাহমুদা খাতুনকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে এই আদেশ দেন এবং জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে শিশুটিকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন।
নথিপত্রে দেখা যায়, এক মামলায় ওই শিশুর বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৪ ও ৫ ধারার অভিযোগ বিচারিক আদালতে প্রমাণিত হয়। আইনের ওই দুই ধারায় শিশুটিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৪(বি) ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন যশোরের শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক মাহমুদা খাতুন। রায়ের বিরুদ্ধে কারাগার থেকে শিশুটি গত বছর জেল আপিল করেন। উক্ত জেল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে দেখা যায় আপিলকারী একজন শিশু। আইনে কোন শিশুকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান নেই কিন্তু ওই শিশুটিকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব দেখে হাইকোর্ট বিচারক মাহমুদা খাতুনকে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভোক্তাকণ্ঠ/এনএইচ