অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার কথা থাকলেও সেই নিয়ম মানছে না অনেক পরিবহন। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ‘ডাবল সিট’ বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর গাবতলীতে সাকুরা কাউন্টারকে ৩০০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২২ দিন বন্ধ থাকার পর গণপরিবহন ১৫ জুলাই থেকে চালু হয়েছে। দূরপাল্লার বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল করছে। সামনে ঈদ, তাই দূরপাল্লার পরিবহনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে বুধবার (১৪ জুলাই) থেকে। কিন্তু অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার কথা থাকলেও সেই নিয়ম মানছে না অনেক পরিবহন। দ্বিগুণ ভাড়ার সঙ্গে শতভাগ সিটের টিকিট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরিবহনের ‘ডাবল সিট’ বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর গাবতলীতে এই পরিবহনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কাউন্টার মাস্টার মো. নিজাম বলেন, ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এদিকে অর্ধেক যাত্রী এবং ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নিলেও এই পরিমাণ টাকা ভাড়া হিসেবে পাওয়া যায় না। যদি খরচ ও আয় সমান হয় তাহলে মালিকের কিছুই থাকে না। সেক্ষেত্রে আমাদের বেতন কোথা থেকে দেবে। গাবতলীতে অনেকেই গোপনে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। শতভাগ সিটও বিক্রি করছে। গাবতলী সাকুরা কাউন্টারের আশপাশের অন্যান্য কাউন্টারের শ্রমিকরা জানান, সকালে ম্যাজিস্ট্রেট এসে সাকুরা কাউন্টারকে জরিমানা করেছে। কারণ তারা (কাউন্টার) অতিরিক্ত ভাড়া ও ডাবল সিট বিক্রি করেছে।
সরকারসহ আমাদের সংগঠনের নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়াসহ দুই সিট একজনের কাছে বিক্রি করার বিধান রয়েছে কিন্তু তারা দুই সিট আলাদা আলাদা দুই জনের কাছে বিক্রি করেছিল। এরকম অভিযোগের ভিত্তিতে জরিমানা করা হয়েছে। দুই সিটের ভাড়া ৮৫০ টাকা রাখার কথা থাকলেও তারা দুই সিট এক হাজার ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছে। সাকুরা কাউন্টারের মাস্টার মো. নিজাম বলেন, সকালে ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের জরিমানা করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আমরা যেসব ডাবল সিট বিক্রি করেছিলাম, সেই টিকিটগুলোর টাকা ফেরত দিয়েছি। পরে দুই সিট একজনের কাছে বিক্রি করেছি। যাত্রীদের চাপে ভাড়া বেশি নিয়েছিল আমাদের কয়েকজন কর্মচারী, সেগুলোও ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঢাকাসহ সারাদেশে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান – Voktakantho