সুনামগঞ্জে হাওরের মানুষের মনে এখন উৎসব। দিনভর ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো এবং গোলায় তোলায় ব্যস্ত কৃষক পরিবার। এই বছর আবহাওয়া ভালো। ঝড়-বৃষ্টি হইনি তেমন একটা। নেই আগাম বন্যার কোন শঙ্কা। সব মিলিয়ে একটা ভালো বছর পেয়েছেন কৃষকেরা। এখন খুশি মনে ধান গোলায় তুলছেন তাঁরা।
সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ১৫৪টি হাওরে হয় বোরো ধানের আবাদ। ধান লাগানোর পর বৃষ্টি কম হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে কোন ঝামেলা ছাড়া সোনার ধান ঘরে তুলতে পেরে এবিষয়ে কোনো আক্ষেপ নেই কৃষকদের । তাদের মতে, এভাবে আর ১৫ দিন সময় পেলে হাওরের ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।
প্রথম আলো থেকে জানা যায়, গত চার-পাঁচ বছরের মধ্যে এবার এ সময়ে আবহাওয়া অনেকটা ভালো থাকায় কৃষকেরা নির্বিঘ্নে ধান গোলায় তুলতে পারছেন। দেখা গেছে, বৈশাখে টানা বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়, শিলাবৃষ্টি থাকে। বজ্রপাতও বেশি হয়। এতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে সমস্যা হয়। পাশাপাশি শ্রমিক সংকট ও আগাম বন্যার আশঙ্কা থাকলে কৃষকদের মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু এবার এসব নেই। এক কৃষক বলেন, ‘সব দিক মিইল্যা ইবার বছর ভালা। সবাই খুশি। কোনো টেনশন নাই। খুশি মনেই ইবার ধান ঘরও তুলরাম।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ধান কাটা হয়েছে ৩০ শতাংশ।
ভোক্তাকণ্ঠ/এনএইচ