সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ধারণে ভোক্তা অধিকার

স্বাভাবিক জীবন ধারণে ভোক্তা অধিকার করোনা কালে অনেক সমস্যায় দেশ ও জনগণ ভয়াবহ অবস্থা অতিবাহিত করছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছেন।

এই মহাবিপদ হচ্ছে প্রকৃতিক। আমরা যদি অনেক অনেক দিন আগের কথা জানার চেষ্টা করি, তাহলে জানতে পারব
কিভাবে জনগণ তথা কমিউনিটি ও সরকার মোকাবেলা করেছিলেন।

তখনকার সময়ে, কলেরা বসন্ত যক্ষা সহ নানাবিধ সমস্যায় প্রতি বছরই বহু প্রানহানি হতো। তবে জিনিসপত্রের দাম ও
সুযোগ সুবিধা অনুকুল থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষিত ছিল।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বর্তমানের ভয়াবহ অবস্থা হতে মুক্তির জন্য। সরকারী বেসরকারি ভাবে দায় দায়িত্ব নিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করছে।

কিন্তু আমাদের সরকারকে পরামর্শ হচ্ছে, যেহেতু আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত দেশের মতো নয় সরকারি ভাবে
ভর্তুকি দিয়ে, জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে। এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিল, বাড়ীভাড়া,
জমির খাজনা বিভিন্ন ট্যাক্স ইত্যাদি সহ মওকুফ অথবা কভিড শেষে ৫০% দেয়ার জন্য আদেশ দেওয়া।
তাহলেও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করতে সহজেই সম্ভব হবে।

আরও খবর পড়ুনঃ [ বৃক্ষ রোপণ, পরিবেশ উন্নয়ন ও আমাদের করণীয় ]

এমনিতেই লকডাউন বা করোনার বিপদ থেকে সাবধান হওয়ার জন্য অনেকটা কাজকর্ম প্রায় বন্ধ। তাছাড়া অনেক দেশই এই মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে খাবার অর্থ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র সরকারি বেসরকারি ভাবে  সরবরাহ করছেন। কিন্তু আমাদের তেমন কোনো উদ্দোগ সরকারি বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে নেই বললেই চলে। যা কিছু সামান্য রয়েছে তা দিয়ে মানুষ বেঁচে থাকা ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা অসম্ভব। ভোক্তা যদি সুস্থ জীবন যাপন উন্নয়ন সেবা মুলক কাজের মধ্যে বেঁচে থাকতে পারে তাহলেই কেবল একটি দেশ সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে সহায়ক।

আমাদের দেশে এখন ৫০% জনগণ প্রায় সয়ংসম্পুর্ন। একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, দেশের ২৫%
সম্পদশালী বা উচ্চবিত্ত। তাদের সকলেই সরকারের এধরণের কাজে জড়িত হয়ে সহায়তা করতে পারবে। যদি মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী মহোদয় এই ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে স্বাভাবিক জীবন ধারণে ভোক্তা অধিকার
সংরক্ষণ করতে সহজেই সম্ভব। যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফলপ্রসু হয়েছে।

তাহলে জিনিসপত্রের দামও কমবে। জনগণের কল্যানে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো সহজ ও আন্তরিক ভাবে পালনে সরকারি উদ্যোগ চাংগা করা যায়।

সেই সাথে করোনা ভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতেও জনগন আগ্রহী হবেন। ঘরে বসে থাকতেও জনগণের
উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। এতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করতে ও সচেনতা বৃদ্ধি পেলে রোগের প্রাদুর্ভাবও কমতে থাকবে।

আসুন আমরা সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়ে যে যেভাবেই সুযোগ রয়েছে আমরা তা কাজে লাগিয়ে সরকারি বেসরকারি
সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়ে দেশের মহাবিপদ মোকাবেলা করতে পারব ইনশাআল্লাহ।


লেখক: জামিল চৌধুরী

সভাপতি সিলেট জেলা শাখা,ক্যাব

মতামত কলামের লেখা পাঠকের নিজস্ব মতামত।
এর মাধ্যমে ভোক্তাকন্ঠের নিজস্ব মতামত প্রতিফলিত হয় না বরং মতামতের জন্য লেখক এককভাবে দায়ী।

ডিসক্লেইমার(Disclaimer)