করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চলমান লকডাউন শেষে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে আবারো লকডাউন দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জরুরি সেবা ছাড়া পোশাকশিল্পসহ সব কলকারখানা, শপিং মল, দোকানপাট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান এ সময় বন্ধ থাকবে। লকডাউন নিয়ে সরকারের এমন পরিকল্পনায় আপত্তি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প মালিকদের। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখতে চান।
পোশাক ও বস্ত্রশিল্প মালিকদের চার সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও ইএবি এর দাবি পোশাক খাতকে বিধিনিষেধ থেকে আওতামুক্ত রাখার। যদিও কোনো বিধিনিষেধ বা প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়নি এখনো।
আট-নয় মাস ধরে করোনা পরিস্থিতির মোকাবেলা করছেন পোশাক ও বস্ত্রশিল্প। স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রটোকলের ভিত্তিতে চালু রেখেছেন উৎপাদন কার্যক্রম। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক শ্রমিকদের কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম, ১ শতাংশেরও নিচে। চলমান দ্বিতীয় ঢেউয়েও এ খাতের শ্রমিকদের মধ্যে খুব কমই আক্রান্ত হয়েছেন।
শিল্প-মালিকদের দাবি, পরিস্থিতি এখন জটিল। কিন্তু এখনই সবকিছু বন্ধ করে শ্রমিকদের ছেড়ে দেয়া হলে তারা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়া তাদের বেতন পরিশোধ নিয়েও ঝামেলা দেখা দিতে পারে। এখনো শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর সুযোগ রয়েছে। প্রতি বছরই ঈদের আগে তিন-চার সপ্তাহ প্রচুর কাজ থাকে, এবারো থাকবে। এসব কাজের কাঁচামালও কেনা হয়ে গেছে। এ মুহূর্তে কাজের ব্যাঘাত ঘটলে আবারো স্টকলটের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।