যশোরের কেশবপুরে সাতবাড়িয়া পশুর হাটে আদায় করা হচ্ছে রাজস্ব কিন্তু তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন দফাদার ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে অর্থ আদায় করে আত্মসাতের এই অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল উদ্বোধন হয় হাটটি। প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার বসে হাট। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কয়েকজন স্লিপের মাধ্যমে ওই হাট থেকে রাজস্ব আদায় করে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, টাকা আদায় করা হলেও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয় না।
এলাকাবাসী বলেন, ওই হাট প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করে আসছেন। এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত বুধবার ইউএনওর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
ইউএনওর কাছে দেওয়া আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সাল থেকে তিন বছর ওই হাট থেকে প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে, যা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। কয়েকজন মিলে আত্মসাৎ করেছেন। প্রতি সপ্তাহে ১৫০ থেকে ২০০ পশু কেনাবেচা হয়। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এই সংখ্যা আরও বাড়ে। গরুপ্রতি ৩০০ এবং ছাগলপ্রতি ২০০ টাকা করে স্লিপের মাধ্যমে আদায় করা হয়।
ইউএনওর কাছে আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মশিয়ার গাইন। তিনি বলেন, পশুর হাট থেকে বিগত বছরে যে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাসছুদ্দীন দফাদার বলেন, ২০১৮ সালে ২১ শতক জায়গা কিনে সরকারের নামে লিখে দিয়ে হাট চালু করা হয়। তৎকালীন ইউএনওর কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে হাটের ইজারা আদায় করা হয়েছে। যাঁরা হাটের নামে জায়গা লিখে দিয়েছেন, তাঁদের কিছু অর্থ দেওয়ার জন্য ইজারা আদায় করা হয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো