ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
বাংলাদেশের বৃহত্তম পর্যটন মেলা ১০ম মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ মার্চ। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনের এ মেলা চলবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত।
মেলায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থা, দেশি ও বিদেশি ট্যুর অপারেটরস, ট্রাভেল এজেন্টস, ট্যুরিজম অথরিটি, এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্টস, এমিউজমেন্ট পার্ক, ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিসহ অন্যরা অংশগ্রহণ করবে।
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএ) ২০২২-এর আয়োজন করছে দেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। ১০ম মাস্টারকার্ড বিটিটিএফ ২০২২ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রীরা আইডি কার্ড দেখিয়ে মেলায় বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
সোমবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আয়োজকরা জানান, ২০০৭ সাল থেকে টোয়াব তিন দিনের বাৎসরিক এ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা আয়োজন করে আসছে। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়ন এ মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ টুরিস্ট পুলিশ।
তারা আরও জানান, করোনার কারণে এ বছর বিদেশিদের অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে। তবুও ইস্টার্ন হিমালয়া ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (ইটোয়া) এবং ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টসরা অংশগ্রহণ করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন অংশগ্রহণ করবে।
এবারের মেলায় আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, বিনোদন পার্ক, পরিবহন সংস্থা, ব্যাংক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। মেলায় আটটি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৮০টির বেশি স্টল থাকবে। মেলা চলাকালে বিটুবি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রেস কনফারেন্স ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
মেলার সমাপনী দিনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তত্বাবধানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে মুজিব’স বাংলাদেশ নাইট। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক আয়োজনসহ বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও টোয়াবের প্রেজেন্টেশন থাকবে। অনুষ্ঠান শেষে পরের মেলার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মেলার প্রেক্ষাপট ও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে টোয়াবের সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডি সদস্য মো. রাফেউজ্জামান বলেন, টোয়াব বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন এবং বিটিটিএফ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় পর্যটন মেলা। এবারের মেলা অনেক আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছর মূল মেলার সঙ্গে সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে থাকবে বিটুবি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। মেলায় দুটি হলে আটটি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৮০টি স্টল থাকবে। মেলার টাইটেল স্পন্সর মাস্টারকার্ড এবং কো-স্পন্সর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
তিনি আরও বলেন, গত দুই বছরে করোনা মহামারির কারণে আমরা বিটিটিএফ আয়োজন করতে পারিনি। আমরা আশা করছি, দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিতব্য পর্যটন মেলায় ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। করোনা মহামারির পর এ মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ, মেলার টাইটেল স্পন্সর মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মেলার কো-স্পন্সর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম, টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।