নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেছেন, তিতাসের এতো বদনাম, আমরা কাজ করতে পারছি না। হয়তো ৫-১০ শতাংশ স্টাফ দুনীতিতে জড়িয়ে আছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) বিয়াম মিলনায়তনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের উপর গণশুনানিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মোঃ হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, তিতাসের অনেক বকেয়া এতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের প্রতিমাসে বিল হয় প্রায় ১৫শ কোটি টাকা, চার মাসের বিল বকেয়া পড়লে পরিমাণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। বিল দিতে চান না, লাইন কাটতে গেলে মামলা দেন। এভাবে চলতে পারে না।
তিনি বলেন, অনেক বলেন অবৈধ সংযোগ রয়েছে তিতাস কিছু করে না। আমাদের হাজার হাজার লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। আমরা কাটছি, তারা আবার লাগাচ্ছে। ইদুর বিড়াল খেলা চলছে, আমাদের লোকবল কম তাদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। অবৈধ প্রতিরোধে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার কাছে অনুরোধ করছি সহযোগিতার জন্য। আপনারা সহযোগিতা না করলে আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না।
কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে শুনানি গ্রহণে উপস্থিত রয়েছেন সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক ও মোঃ কামরুজ্জামান। বুধবার টানা তৃতীয় দিনের মতো গণশুনানি হচ্ছে। এদিন বিকেলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
তিতাস গ্যাস অন্যান্য বিতরণ কোম্পানির মতোই গড়ে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। পাশাপাশি বিতরণ চাজ ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬৮পয়সা আবেদন করেছে। তবে বিইআরসি কারিগরি কমিটি বিদ্যমান বিতরণ চাজও বাতিলের সুপারিশ করেছে। টেকনিক্যাল কমিটি তিতাসের গ্যাসের দাম ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সুপারিশ দিয়েছে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, ভোক্তার স্বাথ রক্ষা, শিল্পের বিকাশ এবং বিতরণ কোম্পানির স্বাথ দেখা। বতমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মধ্য আয়ের লোকেরাও হিমশিম খাচ্ছে। আমরা যে পণ্যটির বিষয়ে শুনানি করছি তার চেইন ইফেক্ট রয়েছে, কোনো প্রস্তাবকারি সেটি তুলে আনেনি। আমরা সামগ্রিক সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব।