টেক্সাসের এক শিশু হাসপাতালের কো-ডিরেক্টর পিটার হোটেজ বলছেন, “কীভাবে কোভিড-১৯-এর জন্ম হল, এর উৎস কী, এ বিষয়টি যদি আমরা বিস্তারিত জানতে না পারি, তাহলে কোভিড-২৬ এবং কোভিড-৩২-এর সম্মুখীন হতে হবে আমাদের।” এরপরই তিনি অতিমারী বিশেষজ্ঞদের আবেদন জানান, যাতে দ্রুত তাঁরা এই বিষয়টি সন্ধান করেন। উৎস সন্ধানের জন্য চিন প্রশাসনকে এর জন্য রাজি করানোর অত্যন্ত প্রয়োজন বলেও ব্যক্ত করেন হোটেজ।
কোভিড-১৯-এর (COVID-19) উৎস কোথায়? এই তথ্য খুঁজে বের করতে না পারলে আগামিদিনে বিরাট বিপদে পড়তে হবে বিশ্ববাসীকে। কোভিড ২০১৯-এর মতোই গোটা দুনিয়ায় দাপট দেখাবে এই নোভেল ভাইরাসের মতোই সাংঘাতিক ক্ষমতাসম্পন্ন ভাইরাস। এমনই আশঙ্কার কথা জানালেন দুই মার্কিন বিশেষজ্ঞ।
২০১৯ সালে প্রথমবার চিনের (China) ইউহান শহরে ছড়িয়েছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ধীরে ধীরে যা অতিমারীর রূপ নিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ইউহানের ল্যাবেই এই ভাইরাস তৈরি হয়েছিল নাকি এর উৎসের নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাটাছেঁড়া চলছে। তবে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি। অর্থাৎ মারণ ভাইরাসের উৎপত্তির আসল কারণ এখনও অধরা। আর ঠিক এখানেই লুকিয়ে বিপদ।
আরেক মার্কিন বিশেষজ্ঞ স্কল গটলেইবের কথায়, এই ভাইরাসের সূত্র খুঁজে বের করা গেলে আগামিদিনে এই প্রজাতির ভাইরাসকে রোখা সম্ভব হবে। এই ভাইরাস কোনও পশুর থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে কি না, তাও পরীক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এমন কোনও পশুর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছেন তিনি। তাঁদের আশঙ্কা চিন কোনও তথ্য গোপন করতে গিয়ে বিশ্বে আরও বড় বিপদ না ডেকে আনে!
ইতিমধ্যেই কোভিডের সন্ধান পেতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জো বাইডেন সরকার। তদন্তকারী বিশেষ দলকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৯০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এরপরই দুই মার্কিন বিশেষজ্ঞের এহেন আশঙ্কা প্রকাশ নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াল সাধারণ মানুষের।