ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) জ্বালানি রূপান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও যুব সক্ষমতা বিষয়ে ব্যাচ-২, ব্যাচ-৩-এর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।
গত ০৮ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ঢাকার আশুলিয়াস্থ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে তরুণদের জ্বালানি রূপান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও যুব সক্ষমতা বিষয়ে ছয় দিনের এক বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইনফরমেশন এন্ড কম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ১০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুই ব্যাচে (ব্যাচ ২, ব্যাচ ৩) এই বুনিয়াদি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ডিজিটাল লিটারেসি, কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট, নিড এসেসমেন্ট, সার্ভে কোশ্চিনারি ডেভেলপমেন্ট এন্ড কন্ডাক্ট সার্ভে, বাংলাদেশের সংবিধান বিষয়ে তরুণদের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়।
এতে প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া এম হুসেইনুজ্জামান, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তমা ফৌজদার, স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি শেখ মো. রেজওয়ান, সাধারণ শিক্ষা উন্নয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও হেড পরিসংখ্যানবিদ ড. মো. কামরুল হোসেইন, ইনফরমেশন এন্ড কম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক দীপ্ত বিশ্বাস, ইনফরমেশন এন্ড কম্যুনিকেশন বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ সাজ্জাদ ইউসুফ, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ডিজিটাল কনটেন্ট স্পেশালিষ্ট মীর তারিদ আল আবিদ, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিষয়ক গবেষক এডভোকেট আরিফ খান।
তরুণরা যাতে ডিজিটাল লিটারেসিকে ব্যবহার করে চারপাশের জনসমস্যাকে যথাযথ ভাবে তুলে ধরে সমাজ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সেই লক্ষ্যই এই প্রশিক্ষণ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ক্যাবের জ্বালানি রূপান্তর নীতির আওতা ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে তরুণরা যাতে অধিকতর সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে সেই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই প্রশিক্ষণকে বিন্যস্ত করা হয়। এই প্রশিক্ষণ ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
প্রশিক্ষিত তরুণদের সক্ষমতাকে অধিকতর জনকল্যাণে ব্যবহারের নিমিত্তেই এই প্রশিক্ষণের মডিউল তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই তরুণদের মধ্যে উৎসাহী, উদ্যমী, সক্ষমতার মানে উন্নীতদের নিয়ে সামাজিক সমীক্ষার নানা কাজ শুরু করবে ক্যাব। এই তরুণদের মধ্য থেকে বাছাই করে ক্যাবের উদ্যোগে গঠিতব্য গ্রীণ পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে তাদের সম্পৃক্ত করা হবে।