অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস কারণে চাহিদা কমে আসায় ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশ্ব বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নেমে এসেছে শূন্যেরও নিচে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানা যায় সোমবার নজিরবিহীন এই পরিস্থিতির মধ্যে যখন বাজার শেষ হল, তখন ফিউচার মার্কেটে মে মাসে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলার। এর মানে হল, তখন ক্রেতাকে প্রতি ব্যারেল তেলের সঙ্গে এই পরিমাণ অর্থও দিতে রাজি ছিলেন উৎপাদকরা।
মে মাসেই তেল মজুদের আর জায়গা থাকবে না বলে আশঙ্কার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। মে মাসে সরবরাহের জন্য তেল কেনাবেচার চুক্তি করার সময় মঙ্গলবারই শেষ হবে। এর মধ্যেই জুনে সরবরাহের জন্য এই তেলের দাম ৯৬ সেন্ট বা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ২১.৩৯ ডলারে উঠে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে লকডাউনের মধ্যে বিশ্বের বহু দেশের মানুষ এখন ঘরবন্দি থাকায় রাস্তাঘাট সব ফাঁকা, উড়োজাহাজগুলো বসে আছে, কারখানাগুলোও অন্ধকার। একারণে গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৩০ শতাংশ কমেছে।
এর ফলে প্রতিদিনই কোটি কোটি ব্যারেল তেল গুদামে জমছে, অদূর ভবিষ্যতে তেল রাখার কোনো জায়গা থাকবে না। মে মাসের আগেই গুদাম, শোধনাগার, টার্মিনাল, জাহাজ, পাইপলাইন- সবগুলোর ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কার কথা বিবিসির প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সমিতি অ্যাপেক ও রাশিয়াসহ এর মিত্ররা দিনে ৯৭ লাখ ব্যারেল করে তেলের উৎপাদন কমাতে রাজি হয়েছে। তবে সেটা মে মাসের আগে হচ্ছে না।