ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের (সিওডি) প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এর রিয়্যাক্টরটি উন্মুক্ত রেখে বিভিন্ন সিস্টেমের ‘ফ্লাশিং’র কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সম্পন্ন হবে বিশেষায়িত ‘পোস্ট ইনস্টলেশন ক্লিনিং (পিআইসি)’।
শনিবার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটিতে যন্ত্রপাতি ও পাইপলাইন স্থাপনের সময় কোন ময়লা থাকলে তা পরিষস্কার করার জন্য ফ্লাশিং পদ্ধতিতে সংযোগকারী পাইপলাইন ও সার্কিটের পাইপলাইনে মিনারেলমুক্ত পানি রিয়েক্টর ভেসেলে (চুল্লির আধার) প্রবাহিত করা হয়।
এএসইর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি ডেইরি এ প্রসঙ্গে বলেন, রিয়েক্টর উন্মুক্ত রেখে সক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর ফ্লাশিং প্রি-কমিশনিং কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। সব যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়া ব্যবস্থার অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। আর এটি হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে প্রথম।
রিয়্যাক্টরের সবকিছু সঠিক ভাবে স্থাপন করা হয়েছে কি না এবং এটি অপারেশন্সের জন্য প্রস্তুত কি না, তা এই ফ্লাশিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অপারেশন্স ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত পানির পাম্পগুলোর কার্যকারিতাও এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর রাশিয়ার রোসাটম করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
উল্লেখ্য, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ সাল পর্যন্ত রয়েছে।
তবে ২০২৪ সালে ১ম ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়া এবং ২০২৫ সালে ২য় ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিক ভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। একক প্রকল্প হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোন অবকাঠামো স্থাপন প্রকল্প।