ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সরকার বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্যাস আমদানির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বছর ও আগামী বছর স্বল্প মেয়াদি চুক্তির আওতায় প্রাকৃতিক গ্যাস আনতে দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করছি। বর্তমানে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করছে। চুক্তিটি ২০২৫ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
‘সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে গ্যাস অথবা জ্বালানি আমদানি করবে। যা মূল্য সমঝোতার ওপর নির্ভর করছে। যদি আমরা কম মূল্যের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাই, তবে আমরা গ্যাস বা জ্বালানি আমদানি করবো।’
অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার পিএসসি (প্রোডাকশন শেয়ার কন্ট্রাক্ট) পর্যালোচনা করে চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ দরপত্র আহ্বানের চেষ্টা করছে। দুইবার দুটি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। কিন্তু সম্ভাব্যতা না থাকায় তারা পিছিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান চালাতে প্রায় ১০ বছর সময় লাগে। তবে আমরা দরপত্রের মাধ্যমে এই অনুসন্ধান কাজ করবো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ছে। তাই আমাদের গভীর সমুদ্রের পাশাপাশি উপকূলেও অনুসন্ধান কাজ জোরদার করতে হবে।