আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউরোপের দুই দেশ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের মিত্র এই দেশ দুইটি জানিয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকে তাদের সরবরাহ বন্ধের কথা জানিয়ে দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া তাদের দেশে রুশ গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কথা জানালেও মস্কোর তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানি পিজিএনআইজি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৮টা থেকে দেশটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে মস্কো। বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদেরও বুধবার থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কথা জানিয়ে দিয়েছে গ্যাজপ্রম।
সম্প্রতি ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে রুশ জ্বালানি নিতে হলে ডলারের বদলে রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা আরোপের ঘোষণা দেয় মস্কো। অন্যথায় তাদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে মস্কোর ওই শর্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া। এরপরই উভয় দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় গ্যাজপ্রম।
গ্যাস আমদানিতে পোল্যান্ড রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রমের ওপর নির্ভরশীল। তবে সরবরাহ স্থগিত হলেও আপাতত সেটি দেশটির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। কারণ হিসেবে পোলিশ কোম্পানি পিজিএনআইজি বলছে, তাদের ভূগর্ভস্থ রিজার্ভে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সংরক্ষিত রয়েছে। আর সামনে গ্রীষ্ম আসছে, ফলে চাহিদা কম।
পোল্যান্ডের হাতে আরও বিকল্প ব্যবস্থা আছে। বাল্টিক উপকূলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (পিএনজি) টার্মিনাল রয়েছে। এটির জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে পাইপলাইনে সংযোগ রয়েছে। রাশিয়া যদি সত্যিই পোল্যান্ডে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে বড় গ্রাহকদের সরবরাহ কমিয়ে আনতে পারে ওয়ারস।
গ্যাসের বিকল্প উৎসের জন্য চেষ্টার কথা জানিয়েছে বুলগেরিয়া। রাশিয়ার নতুন যে পেমেন্ট সিস্টেমের কথা বলছে সেটিকে বর্তমান চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটি।