এস এম রাজিব: গ্যাস স্বল্পতার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং হচ্ছে। আর এই ভোগান্তির জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
পোস্টে প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্য সব দেশের মতো আমাদেরকেও সমস্যায় ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে আপনাদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।’
তবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ববোধকে সম্মান করে কমেন্টে অনেকেই বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।
আরিফ ইবনে ইউসুফ নামের একজন লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের এমন পাবলিক স্টেটমেন্ট জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে ওনার দায়বদ্ধতাই প্রমাণ করে। ধন্যবাদ আপনাকে। সমস্যা থাকতেই পারে। সবাইকে নিয়েই সেই সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। জনগণকে অন্ধকারে রাখলে কিছু শুয়োর সেটার সুযোগ নেয়। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ স্যার।’
মাসুদ রানা লিখেছেন, ‘স্যার দয়া করে লোডশেডিং এর ক্ষেত্রে একটু ন্যায় বিচার করুন। ঢাকা ও মফস্বলের শহরে একই চাহিদা ও সরবরাহে একই রকম অনুপাত বজায় রাখুন। আর রাত্রে সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুরো দমে চালু রেখে দিনের বেলায় বন্ধ করুন দিনে বেশি লোডশেডিং হোক। রাত্রে ১০-৬টা লোডশেডিং মুক্ত রাখুন।’
জান্নাতুল জিম লিখেছেন, ‘শহরে তো সবসময়ই বিদ্যুৎ থাকে… সব বিদ্যুতের হিসাব হয় গ্রামের লোকদের সাথে…। মাইলের পর মাইল অপ্রয়োজনীয় লাইট জ্বালানোর জন্য শহরে ঠিকই বিদ্যুৎ থাকে। কিন্তু গ্রামের মানুষদের স্বাভাবিক নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম করার জন্য বিদ্যুৎটা থাকে না…।’
আকরাম হোসেন রানা লিখেছেন, ‘বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে আলোকসজ্জার নামে বিদ্যুতের চরম অপচয় করা হচ্ছে। প্রয়োজনের বাইরে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করা হোক।’
আর তালুকদার এ মারুফ নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করার মতো, দুঃসাহসিক মানুষিকতা দেখিয়েছেন, এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। রাজধানীতেও এর প্রভাব পড়েছে।