ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি। রোববার (৮ জানুয়ারি) বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়।
শুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ১ টাকা ১০ পয়সা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। এতে কিলোয়াট প্রতি দাম আগের ৭ দশমিক ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ২৩ টাকায় দাঁড়াবে। গড়ে দাম বৃদ্ধি পাবে ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পর কিলোয়াট প্রতি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ট্যারিফ মূল্য হয়েছিল গড়ে ৭.৫৬ টাকা। এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৬.৬৫ টাকা, ডিপিডিসি ৮.০৮ টাকা, ডেসকো ৮.১ টাকা, ওজোপাডিকো ৭.৩৫ টাকা এবং নেসকোর ৭.০৬ টাকা দাঁড়িয়েছিল। যার গড় দাঁড়ায় ৭.১৩ টাকা।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের খুচরা ট্যারিফ ৮.৭৪ টাকা, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের ক্ষেত্রে ৭.৬৩ টাকা, ডিপিডিসির ক্ষেত্রে ৯.৪৩ টাকা, ডেসকোর ক্ষেত্রে ৯.৪১ টাকা, ওজোপাডিকোর ক্ষেত্রে ৮.৫৪ টাকা এবং নেসকোর ক্ষেত্রে ৮.১৬ টাকা নির্ধারণ করার সুপারিশ করে।
শুনানিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের প্রস্তাবে জানায়, দাম না বাড়ালে তাদের ক্ষতি হবে ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। একইভাবে পিডিবি ২৩৪ কোটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ১ হাজার ৫৫১ কোটি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা, নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ৫৩৫ কোটি টাকা লোকসান হবে বলে জানায়। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কোনো আর্থিক অঙ্ক দাঁড় না করালেও বলেছে দাম না বাডোলে তাদেরও ক্ষতি হবে।
গত বছরের ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। সবগুলো প্রতিষ্ঠান বলছে, পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর খুচরা দাম না বাড়ালে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছিল সরকার।