জামালপুর জেলা প্রতিনিধি:
জামালপুরে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি ১৩০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে তারা বিদ্যুৎ পাচ্ছে অর্ধেকেরও কম মাত্র ৬০ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়েই এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
এদিকে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও ভয়াবহ। ৩ দিনেও জ্বলেছে না বাতি, ঘুরছে না পাখা। সেখানে সেহরি, ইফতার ও তারাবির নামাজের সময়ও থাকছে না বিদ্যুৎ। এঅবস্থায় বিদ্যুতের অভাবে চলতি বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে আছে মহা দুশ্চিন্তায় আছেন সাধারণ কৃষকরা।
এদিকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের রৌমারী এবং রাজীবপুর উপজেলায় লোডশেডিং অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই তিন উপজেলায় ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও লোড ডেস্পার সেন্টার (এলএলডিসি) থেকে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৯ মেগাওয়াটেরও কম। জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের রাজীবপুর এবং রৌমারী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত হয় শেরপুর থেকে।
বকশীগঞ্জের মেরুরচর, সাধুরপাড়া ও বগারচর গ্রামে ৩দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কুড়িগ্রামের রাজীবপুর ও জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর বাংলানিউজকে জানান, জামালপুর সদরসহ ৬টি উপজেলা সরিষাবাড়ী, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জের জন্য চাহিদা হচ্ছে ১৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬০ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়েই এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছে।
জামালপুরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রকৌশলী মেহেদী হাসান দিহিদার জানান, জামালপুর মূলত ৬টি উপজেলাসহ টাঙ্গাইলের মধুপুর, ধনবাড়ী ও গোপালপুর উপজেলা গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলাটি শেরপুর থেকে পরিচালিত হয়।
বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে তিনি জানান, লোডশেডিংয়ের সমস্যা শুধু জামালপুরই নয়, পুরো ময়মনসিংহ অঞ্চলেই আছে। এই অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১১শ মেগাওয়াট। সরবরাহ করা হয় মাত্র ৬০০ মেগাওয়াট। ফলে গড়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে সব সময়ই।
তিনি জানান, এখানে উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ১০০ মেগাওয়াওয়াট পাওয়ারপ্যাক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১১৫ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড জামালপুর পাওয়ার প্লান্ট ও ২০০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড ময়মনসিংহ পাওয়ার প্লান্টটিও মেরামতের জন্য পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না।