ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: এলএনজি আমদানির জন্য গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) থেকে পেট্রোবাংলাকে কোন অর্থ দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) অবহিত নয়। আইনি ও নীতিগতভাবে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এলপি গ্যাসের আগস্ট মাসের দর ঘোষণা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল, এনার্জি নিরাপত্তা তহবিল ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিলের যথাযথ ব্যবহারের জন্য কমিশন সচেষ্ট রয়েছে। এনার্জি নিরাপত্তা ফান্ডের বিষয়ে নীতিমালা করেছে বিইআরসি, আর গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের নীতিমালা করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের নীতিমালা করার কথা ছিল বিইআরসির। আপাতত এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি মন্তব্য করেতে চাচ্ছি না।
তহবিল তিনটি বিইআরসির বিভিন্ন অর্ডারের মাধ্যমে গঠিত হয়। বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের সঙ্গে এসব খাতে ভোক্তাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ নেওয়া হচ্ছে। তহবিল গঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, তহবিল সংকটের কারণে অনেক সময় ভালো ভালো প্রকল্প নেওয়া যায় না। বিদেশি অর্থায়নের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। বিদেশি ঋণ পেলেও তাতে নানান শর্তযুক্ত থাকে। এসব তহবিলের টাকায় এমন সব প্রকল্প নেওয়া হবে যাতে, সাশ্রয়ী দর নিশ্চিত করা যায়। ইদানিং এই তহবিলের অনেক অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে। সর্বশেষ অর্থমন্ত্রণালয় এক চিঠিতে এলএনজি আমদানির জন্য ২ হাজার কোটি টাকা ছাড় করার নির্দেশ দিয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
অপর এক প্রশ্নে জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চুক্তি অনুমোদন করে রেগুলেটরি অথরিটি, বাংলাদেশে চুক্তিগুলো বিইআরসি অনুমোদন করে না। বিইআরসি যখন অন্যান্য দেশের মতো চুক্তি অনুমোদন করবে তখন অনেক প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, এলপিজির আমদানিকারকরা অনেকেই দাম বৃদ্ধির আবেদন করেছে। এলসির ভিত্তিতে ডলারের দর নির্ধারণ ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। তা সমন্বয়ের আবেদন এসেছে। কমিশনের বৈঠকে তোলা হবে, সেখানে যদি গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে গণশুনানি করা হবে।
ডলারের দর নিয়ে আমদানিকারকদের আপত্তি প্রশ্নে বিইআরসির সদস্য (অর্থ) আবু ফারুক বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে শেষ করিনি। আমি নিজে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার ডিজিএম’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছেন, গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক দর বেঁধে দিতে পারেন না। দর চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। আমি কোন কোন ব্যাংকের নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, যে দামে কিনেছেন সেই দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। কোন কমিশন ধরেন নি, কমিশন যোগ করলে দর আরও বেড়ে যেতো।