ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: জ্বালানি তেলের উপর গৃহীত ট্যাক্স পুরোটা কমানো হলে দাম বাড়ানোর দরকার হতো না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বুধবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জোস ডব্লিউ ফার্নাদেজের সঙ্গে দেশটিতে বৈঠকের অভিজ্ঞতা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘তেলের দাম ৫ টাকা বাড়ানো-কমানোর তো কোনো প্রভাব নেই। বরং এটি যতটুকু বাড়ানো হয়েছিল সেখানেই রাখা উচিত ছিল। কারণ আমরা তো জানি না যে সামনের পরিস্থিতি কি হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে না কমবে, কি হবে, সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এনবিআর ( জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) পুরো ট্যাক্স কমালে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর দরকার নেই। কিন্তু কর না দিলে বাজেটের টাকার সংস্থান কি হবে সেটাও তো ভাবতে হবে।’
ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘খাদ্য, সার ও জ্বালানির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দেয়নি। রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আনার কথা ভাবছে সরকার। আমার মনে হয় না রাশিয়া বা অন্য কোনো উৎস থেকে জ্বালানি তেলের সংস্থান করা হলে আমেরিকার কোনো আপত্তি থাকবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক প্রজ্ঞাপনে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডিজেলের ওপর আরোপ করা সমুদয় আগাম কর থেকে অব্যাহতি এবং আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশর পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। যারে ফলেই ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন দর অনুযায়ী, সোমবার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা , অকটেন ১৩০ টাকা এবং পেট্রোল ১২৫ টাকা লিটার করা হয়।
এর আগে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে চলতি মাসের ৫ আগস্ট কেরোসিন ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলে ৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।