ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও এই মুদ্রায় লেনদেনকারী বিভিন্ন ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর জেরে বুধবার ফের কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রধান বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ৩৮ সেন্ট কমে হয়েছে ৯২ দশমিক ৪১ ডলার, শতকরা হিসেবে এই হ্রাসের হার দশমিক ৪ শতাংশ।
অপর বেঞ্চমার্ক ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ২৯ সেন্ট কমে হয়েছে ৮৭ দশমিক ০২ ডলার। শতকরা হিসেবে এই হ্রাসের হার দশমিক ৩ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মূলত ২ কারণে ওঠানামা করছে অপরিশোধিত তেলের দাম। এই দু’টি কারণ হলো— ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও চীনের তেল ক্রয় হ্রাস করা।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের বাণিজ্য প্রায় সম্পূর্ণ ডলার নির্ভর। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশসমূহের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার জেরে গত মার্চে ডলারের পরিবর্তে নিজেদের মুদ্রা রুবলে জ্বালানি তেলের বাণিজ্য করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জ্বলানি তেল রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়া। তার আগ পর্যন্ত তেলের বাণিজ্য সম্পূর্ণ ডলার নির্ভর ছিল।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই অন্যান্য বৈশ্বিক মুদ্রার তুলনায় ডলারের মান বাড়ছে। বর্তমোনে ডলারের মূল্য যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা গত ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ডলারের এই লাগামহীন মানবৃদ্ধির ফলে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা এড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম। তার অংশ হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সুদের হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।
ডলারে লেনদেনকারী বৈশ্বিক ব্যাংকগুলো যদি সুদের হার বাড়িয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে তার প্রভাব জ্বালানি তেলের বাজারে পড়া স্বাভাবিক।
পাশাপাশি জিরো কোভিড নীতির কারণে তেল ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে চীন। তেলের বাজারে মন্দাভাবের এটিও একটি বড় কারণ।