বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৃণমূল থেকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।’
শনিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিল্পায়ন ও অর্থনীতির আকার দ্রুত বাড়ায় গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানির চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করে তা সঠিক সময়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে হবে। ১০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে প্রায় ৩৫০ একর অ-কৃষি জমি প্রয়োজন, যা বড় আকারের সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার প্রধান প্রতিবন্ধক। এর বাস্তবভিত্তিক সমাধান আমাদেরকেই বের করতে হবে। ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের ইঞ্জিন দক্ষতা বেশি হওয়ায় ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল বাড়াতে পারলে আমদানি করা জ্বালানি তেলের উপর চাপ কমতো এবং কার্বন ইমিশন আরও কম হতো।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এ ধরনের কার্যক্রম নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ও উন্নয়নকে সহযোগিতা করবে। যা পর্যায়ক্রমে টেকসই সমাধান নিশ্চিত করবে।’
অনুষ্ঠানে Assessment of Solar Electricity Potential in Public Universities, Solar DC system: Empowering Rural Communities with Sustainable, Energy Auditor Training Program শীর্ষক তিনটি গবেষণা পত্র উপস্থাপন করা হয়।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের ডীন ও অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান ও ইউনিভার্সিটির ইলেক্টনিক এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. শহিদুল্লাহ।
-এসএম