অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারিতে বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে গ্রাহকদের সমস্যা হওয়ার কারণে আরও কিছু দিন আবাসিক গ্রাহকদের বিলম্ব মাশুল মওকুফের চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ। গ্রাহকের খরচের হিসাবে গড়বড় হলেও এনিয়ে কোনো গ্রাহককে শেষ পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না বলে আবার আশ্বস্ত করেছে তিনি।
করোনার কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব মাশুল বা জরিমানা মওকুফ করা হয়েছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার না দেখে প্রকৃত বিলের কাছাকাছি একটি অনুমিত বিল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এতে অনেকের অন্যবারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিল আসে।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর সেইসব ‘ভুতুড়ে বিল’ নিয়ে গ্রাহক অসন্তোষ দেখা দিলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ছয়টি কোম্পানিগুলোতে কী ঘটেছিল তার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জানাতে রোববার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
‘বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিগুলোর প্রদত্ত প্রতিবেদন’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে বিল সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাখ্যা।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, বিতরণ প্রতিষ্ঠান পিডিবির মোট ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জন গ্রাহকের মধ্যে বিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই হাজার ৫৮২টি; যা মোট গ্রাহকের ০.০৮ শতাংশ।
ডেসকোর ১০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগ পাওয়া গেছে ৫ হাজার ৬৫৭টি, যা পোস্ট পেইড গ্রাহকের ০.৭৯ শতাংশ। (পোস্ট পেইড গ্রাহক ৭১০,৬৬৩ জন)।
নেসকোর মোট ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭৮ জন গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই হাজার ৫২৪টি, যা মোট গ্রাহকের ০.১৬ শতাংশ।
ওজোপাডিকোর মোট ১২ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগ পাওয়া গেছে ৫৫৫টি, যা মোট গ্রাহকের ০.০৪৫ শতাংশ।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, “বিদ্যুৎ বিল নিয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ দ্রুততার সাথে সমাধান করা হচ্ছে এবং হবে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবহৃত বিদ্যুতের বেশি বিল গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হবে না।”
এদিকে বিদ্যুৎ সচিব জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বিল নিয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানির ২৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নানা রকম বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।