ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলে সব থেকে বেশি পুড়ছে জ্বালানি খাত। টানা দাম বাড়ার পর কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও আবারও বাড়তির দিকে। এ ধারাবাহিকতায় বিশ্ব বাজারে আবারও ২ শতাংশ বেড়েছে তেলের দাম।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টা ৭ মিনিটে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ২ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯২ দশমিক নয় শূন্য মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেখানে আগের দিন কমেছিল ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআিই) দাম ব্যারেলপ্রতি ২ দশমিক ২২ শতাংশ বা ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৮৬ দশমিক ১৬ ডলারে পৌছেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এ গণমাধ্যমটি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আংশিক সামরিক সংহতি ঘোষণা করার পর এবং তেল ও গ্যাস সরবরাহে অনিশ্চয়তার কারণে এ দাম বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, তিনি বুধবার থেকে শুরু হওয়া আংশিক সংহতি সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি বলেন যে ‘রাশিয়ার অঞ্চলগুলোকে রক্ষা করছেন তিনি এবং পশ্চিমারা দেশটিকে ধ্বংস করতে চায়’।
এবিষয়ে আইএনজি-এর কমোডিটি রিসার্চের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন বলেছেন, রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলবে। তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপ পশ্চিম থেকে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর সিদ্ধান্তের আহ্বান আসতে পারে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত মার্চ মাস থেকে তেলের দাম বেড়েছে এবং সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছেছে। যুদ্ধের কারণে শুধু তেলের দাম নয়, সব পণ্যের দাম বেড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখনো ডলারের ওপর নির্ভর। যদিও রাশিয়া ইউক্রেন আগ্রাসনের পর রুবলে তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে গত ছয় মাস ধরে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। এরপর তেলের দাম ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে উঠবে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।