ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: আগামী বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসছে। পাইকারি পর্যায়ে বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে না বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) একাধিক সদস্য।
বিইআরসির সদস্য মো. মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পাইকারি বিদ্যুতের নতুন দাম ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পাইকারিতে দাম বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে এখনই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না।
বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা। দাম বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২৫-৩০ শতাংশ বাড়তে পারে। এতে করে বর্ধিত দাম হতে পারে প্রায় ৭ টাকা।
তবে গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে ইউনিটপ্রতি ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে আট টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিল পিডিবি। তবে বিইআরসির কারিগরি কমিটি গণশুনানিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ভর্তুকি ছাড়া আট টাকা ১৬ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করে।
ফলে সরকার যদি ভর্তুকি দেয়, সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কম বাড়ানো হতে পারে। সরকার ভর্তুকি দিতে না চাইলে দাম কিছুটা বেশি বাড়তে পারে।
চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পিডিবি ভর্তুকি তুলে দিয়ে বিইআরসির কাছে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। আর গত ১৮ মে বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে গড়ে প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
নিয়ম অনুযায়ী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শুনানির রায় ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে ১৩ অক্টোবরের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। এতে গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এখনই বাড়ছে না। কারণ বিদ্যুৎ বিতরণকারী সব কোম্পানি বর্তমানে মুনাফায় রয়েছে। তাই বাল্ক বিদ্যুতের দাম ২০-২৫ শতাংশ বাড়ালে তাদের খুব একটা সমস্যা হবে না।