ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাশ্রয় করতেই ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে রাজধানীর বারিধারার বাসভবন থেকে বিদ্যুৎ, লোডশেডিং ও জ্বালানি বিষয়ক সমসাময়িক ইস্যুতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজেলের ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবহার করা হয়, বাকি ৯০ ভাগ পরিবহন ও সেচ কাজে ব্যবহার হয়। বিশ্ববাজারে ডিজেলের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় সরকার চাচ্ছে ১০% ডিজেল খরচ কমাতে। এতে দেশের ডলার খরচ কম হবে।
নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে আমাদের ১৫ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা আছে। পিকআওয়ারে চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াট। কূটনৈতিক এলাকা বাদে সব জায়গায় লোডশেডিং হবে। সপ্তাহখানেক পর্যবেক্ষণ করে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জ্বালানি সংকটের কারণে দেশে বন্ধ করে দেওয়া ডিজেল চালিত ৬ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলো-
কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ের ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ওরাহাটির ১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ব্রাক্ষ্মণগাঁওয়ের ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দাউদকান্দির ২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নোয়াপাড়ার ১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাঘাবাড়ির ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) তথ্য মতে, বেসরকারি কোম্পানীর দ্বারা পরিচালিত এ ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার মেগাওয়াট। অর্থাৎ কেন্দ্রগুলো থেকে উৎপাদন করলে প্রতিদিন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে খরচ হবে ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ চার লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
তবে বন্ধ রাখলেও এই ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রতি মাসে ১৭.২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার বা ১৬১ কোটি ২৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ৯৩.৫০ টাকা হিসেবে) ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভর্তুকি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোকে দিতে হবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিউবো)।
এর আগে জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে ও ঘাটতি কমাতে গত সোমবার (১৮ জুলাই) থেকে কেন্দ্রগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।