ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: দেশের স্থাপনা গুলোতে প্রাকৃতিক আলো বেশি ব্যবহার করা গেলে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ উপজেলার দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ বিন আল-দুহাইলানকে মসজিদটির ইতিহাস সম্পর্কে জানান তিনি। অপূর্ব নির্মাণশেলী প্রাকৃতিকভাবেই মসজিদকে শীতল রাখে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রনে এই হানাফিয়া জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের হাত ধরে বাংলা ১২৭৫ সনে ইংরেজি ১৮৬৮ সনে ও হিজরী ১২২৮ সনে মসজিদটি নির্মিত হয়। কালের পরিক্রমায় ইংরেজী ১৯৬৮ সনে অধ্যাপক হামিদুর রহমান মিনারসহ মসজিদটির বর্ধিতাংশ নির্মাণ করেন। দেড়শো বছরের পুরাতন মসজিদকে ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সংস্কার করে স্বরূপে রেখে পাশে একটি অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পুরানো মসজিদটি ২০২১ সালে ১লা ডিসেম্বর ‘UNESCO Cultural Heritage Conservation’ পুরস্কার এবং লাল মসজিদটি ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ সালে সৌদি আরবের আব্দুল লতিফ ফাওজান আন্তর্জাতিক ‘মসজিদ স্থাপত্য শিল্প বিষয়ক অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ বিন আল-দুহাইলান বলেন, এই মসজিদের মাধ্যমে যে সম্মান অর্জিত হয়েছে তা সারা বাংলাদেশের অর্জন। ঐতিহ্য সংরক্ষনে মসজিদটি সারা বিশ্বের সামনে একটি উজ্জ্বলতর উদাহরণ । এ সময় তিনি মসজিদে ১০০টি কুরআন শরীফ প্রদান করেন।