ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: আবারো বাড়ানো হচ্ছে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। আজকের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এবারও ৫ শতাংশের মতো দাম বাড়বে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়বে। মঙ্গলবার (আজ) সন্ধ্যায়ই হয়তো প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এবারো ৫ শতাংশ বাড়ানো হবে।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে বাড়ানো হয় বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ৮.০৬ শতাংশ ও খুচরা পর্যায় ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। যা এ মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হয়।
এর ফলে খুচরায় গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ভারিত গড়ে দাঁড়ায় ৭ টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা ছিল। আর ভারিত গড়ে পাইকারি বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিতরন কোম্পানিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিইআরসি ১৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। কিন্তু সরকার একবারে না বাড়িয়ে অল্প অল্প করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যেন জনগণের কষ্ট না হয়। এজন্য এবারো ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে হিসেবে ৫০ দিনে ১৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হবে। যা মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া আইএমএফ এর পরামর্শ জ্বালানী খাত থেকে সরকারের ভর্তুকি কমিয়ে আনা। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেও এ দাম বাড়ানো হচ্ছে।
তবে বিদ্যুতের মূল্য না বাড়ানোর বিষয়ে বরাবরই মত দিচ্ছেন কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম।
ভোক্তাকণ্ঠকে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন যুক্তিকতা নেই। সরকার ইচ্ছে করলে অর্ভন্তরীণ উৎস থেকেই এ ঘাটতি সমন্বয় করতে পারে। দাম বাড়ানোর দরকার হয় না। কিন্তু বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের লুন্ঠনের পথ তৈরি করে দিচ্ছে। আর সেই খেসারত দিতে হচ্ছে ভোক্তাকে।
উল্লেখ্য, এর আগে ১২ জানুয়ারি খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। এটি ছিল নির্বাহী আদেশে বাড়ানো প্রথম দর।