দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। গতকাল রাতে ১৫ হাজার ৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ রেকর্ড হয়। এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল তার আগের দিন সোমবার ১৫ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট।
এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ১৫ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াট। এছাড়াও গত ১২ এপ্রিল ও ১১ এপ্রিল রাতেও দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়। ১২ এপ্রিল বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১৪ হাজার ৯৩২ মেগাওয়াট, আর ১১ এপ্রিল রাত ৯টায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিপিডিবির জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক মো. শামীম হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ মঙ্গলবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন আরেক রেকর্ড হয়েছে। সোমবার ১৫ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াটকে ডিঙিয়ে রাত ৯টায় উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা দেশের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।’
গত বছরের ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। তবে ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্বাভাবিক হারে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেয় সরকার। এসময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে সিডিউল করে লোডশেডিং দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে শীতকাল চলে আসায় বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকটা কেটে যায়।
এদিকে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরেও রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশের বিভিন্ন যায়গায় লোডশেডিং হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও এ লোডশেডিং ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অত্যাধিক গরমের কারণে চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করেও লোডশেডিং করতে হচ্ছে। গরম কমে গেলে এ সমস্যা থাকবে না বলেও জানান তারা।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট, আর ক্যাপটিভ সহ ২৬ হাজার ৫৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু এর আগে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৮০ লাখ। মাথা পিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০৯ কিলোওয়াট। বিদ্যুতের আওতায় শতভাগ এবং সোলার হোম সিস্টেমে রয়েছে ৬০ লাখ মানুষ।