ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: মূল বিদ্যুৎ বিলের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিল করায়, গত তিন মাসের এসব বিল বাতিল করার দাবি জানিয়ে বিইআরসিকে চিঠি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বিইআরসির চেয়ারম্যানকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেন ক্যাব-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম। বিদ্যুতের বিল করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা এই বিল করেছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ক্যাবের অভিযোগ কেন্দ্রে পাওয়া অভিযোগ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগসমূহ বিশ্লেষণে দেখা গেছে প্রকৃত বিল অপেক্ষা ১০ গুণেরও বেশি বিল করা হয়েছে। করোনার কারণে মিটার রিডিং নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় ওই তিন মাসের বকেয়া বিল মনগড়া হিসাবের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে এবং একসঙ্গে তা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। প্রদত্ত বিল বিইআরসি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বেআইনি। এই বেআইনি কৃতকর্মে ভোক্তার একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ঘটনার দ্রুত প্রতিকার ও প্রতিরোধ জরুরি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক।
ক্যাবের পক্ষ থেকে বিইআরসির কাছে ছয়টি দাবি করা হয়। এগুলো হলো, বিইআরসির কাছে সকল বিতরণকৃত বিল বাতিল/প্রত্যাহারের আদেশ চাওয়া হয়। এ আদেশ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিলসমূহের ওপর স্থগিত আদেশ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
প্রত্যেক ভোক্তাকে মাসভিক্তিক আলাদা নতুন বকেয়া বিল প্রদানের জন্য পল্লী বিদ্যুৎসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থাকে নির্দেশ দিতে হবে। ভোক্তাভেদে কিস্তিতে সে বিল পরিশোধেরও সুযোগ রাখতে হবে।