ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: কোরিয়ান কোম্পানি পসকো ইএন্ডসি’র (পসকো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) অধীন মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ সময়সূচি অনুযায়ী চলছে।
পসকো ইএন্ডসি বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ সময়সূচি অনুযায়ীই চলছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৯৫.৯% নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, মাতারবাড়ি আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প অনুযায়ী জাইকা (জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা) এর অর্থায়নে সাত বছরের মধ্যে ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতার একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। জাপানের সুমিতমো, তোশিবা, এবং আইএইচআই প্রকল্প বাস্তবায়নে কনসোর্টিয়াম হিসেবে সহযোগিতা করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রধান অংশ নির্মাণের জন্য পসকো ইএন্ডসিকে সাবকন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে সাহায্য করতে নিজের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে পসকো ইএন্ডসি প্রতিদিন কাজ করার জন্য গড়ে প্রায় ৪,০০০ স্থানীয় কর্মীকে নিয়োগ দিয়েছে।
করোনা মহামারী সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় এবং বিলম্ব ছাড়াই এগিয়ে যায়। সমাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য, প্রকল্প শুরুর পর থেকেই বিরতীহীনভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে পসকো ইএন্ডসি। অনুমান করা হচ্ছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে। আর দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদন শুরু করবে ওই বছরেরই জুলাই মাস থেকে।
প্রকল্পটির স্থান পরিদর্শন করে এর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে এবং সাইটে কর্মরত ৭৫ জন কোরিয়ান প্রকৌশলীকে উৎসাহিত করতে গতকাল (সোমবার) ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন মাতারবাড়িতে যান। প্রকল্প পরিচালকরা তাকে প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। পসকো ইএন্ডসি এর চ্যালেঞ্জগুলো শুনে রাষ্ট্রদূত সেগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত লি বলেন, কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বড় অবকাঠামো প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে জড়িত যেগুলোর মধ্যে ভান্ডালজুরি পানি সরবরাহ প্রকল্পে তাইয়োং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশান কোম্পানির সম্পৃক্ততা এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে স্যামসাং কনস্ট্রাকশন এবং ট্রেডিং (সিঅ্যান্ডটি) করপোরেশন এর ভূমিকা রয়েছে। করোনা মহামারীকালে এই প্রকল্পগুলো চালু করার সময়, তারা তাদের সময়ানুবর্তিতা এবং উচ্চ মান ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভালো প্রশংসা পেয়েছে। নিজেদের অসামান্য খ্যাতির কারণে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।