আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বন্ধু নয় এমন কোনও দেশ রাশিয়া জ্বালানি কিনলে দাম পরিশোধ করতে হবে রুশ মুদ্রা রুবলে। বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ কথা জানিয়েছেন। রাশিয়ার এই পদক্ষেপে ইউরোপে জ্বালানির দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে রুশ জ্বালানির ওপর ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে ইউরোপের। ফলে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে মতবিরোধ রয়েছে।
পুতিন স্পষ্ট বার্তায় জানিয়ে দেন, ‘জ্বালানি চাইলে আমাদের মুদ্রায় কিনুন’। তবে ইতোমধ্যে সই হয়ে যাওয়া যেসব চুক্তিতে ইউরোতে মূল্য পরিশোধের কথা বলা আছে সেসব চুক্তি বদলানোর ক্ষমতা এককভাবে রাশিয়ার রয়েছে কিনা তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
পুতিনের ঘোষণার পরই ডলারের বিপরীতে বেড়েছে রুবলের দাম। এদিকে বুধবার ইউরোপের কয়েকটি পাইকারি গ্যাসের মূল্যও বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
ইউরোপের মোট জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশের যোগানদাতা রাশিয়া। এই বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিদিন রাশিয়া থেকে ২০ থেকে ৮০ কোটি ডলারের গ্যাস আমদানি করেছে।
বুধবার সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া নিশ্চিতভাবে পরিমাণ এবং মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রাকৃতিক দ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখবে… আগে শেষ হওয়া চুক্তি অনুযায়ী।’ তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন শুধু হবে মূল্য পরিশোধের মুদ্রায়, যা রুশ রুবলে পরিশোধ করতে হবে।’
তবে জার্মান অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেক বলেছেন, পুতিনের দাবি চুক্তির লঙ্ঘন। রুশ জ্বালানির অন্য ক্রেতারাও একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: রয়টার্স