ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সরকার ঘোষিত শিডিউল মেনে হচ্ছে না লোডশেডিং। কোথাও কোথাও এক ঘণ্টার জায়গায় লোডশেডিং হচ্ছে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
এদিকে, লোডশেডিংয়ের শিডিউল রাজধানীতে কিছুটা মানা হলেও বিপর্যস্ত গ্রামীণ এলাকা। ঢাকার বাইরে বিদ্যুৎ যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে।
জানা যায়, বুধবার দিনে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১১ হাজার ১৫৫ মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় ১২ হাজার ৪৯৪ মেগাওয়াট।
বিউবোর সূত্রমতে, আজ (বৃহস্পতিবার) বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা রয়েছে দিনে ১১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় ১৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
রাজধানীর মিরপুরের রুপনগর এলাকার মো. রাতুল ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘রুটিনে রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আমার এলাকায় লোডশেডিং হওয়ার কথা রয়েছে। অথচ ভোর ৬টায় একবার, দুপুর সোয়া ২টায় এবং সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়- এই তিন বার লোডশেডিং হয়েছে।’
রামপুরা এলাকার ভাড়াটিয়া মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘এখানে বেলা ১১টা থেকে লোডশেডিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়েছে সন্ধ্যার পর।’
কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘যেহেতু জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই লোডশেডিংটা যেন শিডিউল অনুযায়ী হয়, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া বিউবোর দায়িত্ব। কারণ সূচি অনুযায়ী হলে অন্তত জনগণ আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে পারবে।’
বিউবোর শ্রম ও কল্যাণ শাখার পরিচালক গোলাম রব্বানী ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘কি কারণে লোডশেডিংয়ের শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে- তা বলতে পারবো না, এটা প্রকৌশলী শাখার কাজ। তবে সরকার ঘোষিত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হলেও আমরা (বিদ্যুৎ বিভাগ) ৫০ শতাংশ সাশ্রয়ের চেষ্টা করছি। যেন আমাদের দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়।’
গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে সারাদেশে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।