ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: শিল্প কারখানার অবৈধ সংযোগ বন্ধে রাজধানীর মিরপুরের কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে তিতাস গ্যাস ট্র্যান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে ওই এলাকার অন্তত এক হাজার বৈধ আবাসিক গ্রাহককে পড়তে হয়েছে গ্যাস সঙ্কটে।
সোমবার রাতে তিতাস মেঢাবিবি-৬ এর (মিরপুর) ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহীদুর রহমান ভোক্তাকণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে তিতাস থেকে জানানো হয়, অবৈধ ভাবে স্থাপিত শিল্প কারখানায় গ্যাস ব্যবহার রোধ করার জন্যে ৬”x ১৫০ বিতরণ লাইনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। ফলে ইষ্টার্ন হাউজিং পর্ব-২ এর এফ ব্লক থেকে অপর সকল ব্লক এবং আলোকদি এলাকার গ্যাস সরবরাহ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী মো. শাহীদুর রহমান বলেন, ‘ওই এলাকায় ১৮টি ইন্ডাস্ট্রি (শিল্প কারখানা) রয়েছে। এই ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কোন পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। অবৈধ এ ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে বৈধ গ্যাস সংযোগের তুলনায় অন্তত ২০ গুন বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে। অবৈধ এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অন্তত ৫০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোন কাজে আসছে না। যার কারণে বিপুল অর্থের ক্ষতি হচ্ছে তিতাসের।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে তিনটি চিঠি দিয়েছি পরিবেশ অধিদপ্তরে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না পরিবেশ নষ্ট করা এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। অবৈধ এ ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছি না। কারণ আমাদের অভিযানের খবর তারা আগেই জেনে যায়। অফিসের আশপাশে সব সময় তাদের লোক থাকে। অভিযানের খবর পেয়ে তারা আগেই কারখানা বন্ধ করে কেটে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই এলাকায় অন্তত এক হাজার আবাসিক (বৈধ) গ্রাহক রয়েছেন। গ্যাসের সাময়িক এ বন্ধের কারণে তাদেরও সমস্যা হচ্ছে। তবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
এ বছরের প্রথম থেকেই অবৈধ এবং বকেয়া সংযোগের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। তবে মার্চে সাইন্সল্যাব এবং সিদ্দিক বাজার এলাকার দুটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটার তথ্য দেয় ফায়ার সার্ভিস। এরপর থেকে অবৈধ ও ঝুকিপূর্ণ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অভিযানে নামে তিতাস কর্তৃপক্ষ।