ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য আগাম কর মওকুফ ও আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ কমিয়েছে সরকার। রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ইস্যু করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ডিজেলের শুল্ক কর কমিয়েছে এনবিআর।
তাৎক্ষণিক ভাবেই নতুন শুল্কহার কার্যকর করা হয়।
এর আগে গত ৫ অগাস্ট রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ১৩০ টাকা প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয়।
তার আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকা।
এদিকে, ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরই সরকারের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। শুল্ক কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি উঠতে থাকে দেশজুড়ে। এখন সেই পথেই হাঁটছে সরকার। ডিজেলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। আর পাঁচ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুল্ক কর কমানোর ফলে ডিজেলের আমদানি ব্যয় কমবে। শিগগিরই কমানো হতে পারে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দাম- এমনই আভাস দিচ্ছেন বিপিসির কর্মকর্তারা।
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, ডিজেলের ওপর কর ভার ছিল ৩৪ শতাংশের মতো। আমদানি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) বাবদ আদায় করা আগাম কর কমানোর ফলে তা ২৫ শতাংশের মতো দাঁড়ায়। এতে প্রতি লিটার ডিজেল আমদানিতে ৫ টাকার মতো খরচ কমতে পারে বলে বিপিসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজেলের শুল্কায়ন হয় ট্যারিফ মূল্যভিত্তিক। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যা-ই হোক না কেন, প্রতি লিটারের দাম ৪০ সেন্ট ধরে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, অগ্রিম করসহ যাবতীয় কর আরোপ করেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
বিপিসি কর্মকর্তাদের মতে, বিশ্ব বাজারে ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৩৪ মার্কিন ডলার থাকার সময় দেশে সাড়ে ৪২ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। এরপর বিশ্ববাজারে দাম কমে ১১৮ ডলারে নেমে আসে। পরে ধীরে ধীরে এটি আবার ১৫০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে সর্বশেষ গত শুক্রবার দরটি ১৪৫ ডলারে নেমে এসেছে।
বিপিসির এক কর্মকর্তা ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, বিপিসির একটি হিসাব অনুযায়ী ডিজেল ১১৪ টাকা লিটার বিক্রি করেও ১৭ টাকার মতো লোকসান হচ্ছে বিপিসির। তবে পেট্রোল ও অকটেনে কিছু লাভ করছে কর্পোরেশনটি। এখন মুনাফা কমিয়ে পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমানো হতে পারে।