ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ল তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি)। এক ধাক্কায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হয়েছে ২৬৬ টাকা। ফলে নতুন দর অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হবে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা। যা এতদিন ১ হাজার ২৩২ টাকা ছিল।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এই দাম নির্ধারণ করে। দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১২১ দশমিক ৬২ টাকায় বা রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ০ দশমিক ২,৭০৩ টাকায় সমন্বয় করা হলো। ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৬৯ দশমিক ৭১ টাকায় সমন্বয় করা হলো। সমন্বয়কৃত উক্ত মূল্য ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রযোজ্য ও কার্যকর হবে এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। গত ডিসেম্বরে যার দাম ছিল ১ হাজার ২৯৭ টাকা। তার আগের মাসে (নভেম্বর) ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৫১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৫১ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। এছাড়াও গত বছরের আগস্টের শুরুতে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমেছিল ৩৫ টাকা।
তবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে এলপিজির ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। যা জুনে ছিল ১ হাজার ২৪২ টাকা। তারও আগে মে মাসে ১২ কেজি এলপিজির দাম ছিল ১ হাজার ৩৩৫ টাকা।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। তবে ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে। ফলে সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্যও ওঠানামা করবে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। সেই ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।