নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী লাইটার জাহাজের ভাড়াও ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) আহ্বায়ক নুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর গত ১৫ নভেম্বর কন্টেইনার শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ও কার্গো ভ্যাসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে লাইটার জাহাজের ভাড়া ১৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ওইদিন থেকে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হিসেবে ধরা হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে মাদার ভেসেলে পণ্য আসে৷ এসব পণ্য বহির্নোঙরে খালাস হয়ে অপেক্ষাকৃত ছোটো লাইটার জাহাজে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে। চট্টগ্রাম থেকে দেশের প্রায় ৩২টি রুটে চলাচলকারী লাইটার জাহাজগুলো ডিজেলচালিত। এ কারণে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ।
গত ৯ নভেম্বর পাঁচ ধরনের সেবায় ২৩ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা)। এগুলো হলো- হলেজ চার্জ, লিফট অন-অফ চার্জ, ইমপোর্ট হ্যান্ডলিং প্যাকেজ চার্জ, এক্সপোর্ট স্টাফিং প্যাকেজ চার্জ ও ভিজিএম চার্জ। বর্ধিত এসব চার্জ ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়।
এ নিয়ে পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘটের ঘোষণা না দেওয়া হলেও ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে গণ ও পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৭ নভেম্বর ডিজেলচালিত গাড়িতে ২৭ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণার পর সারাদেশে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়। তবে অব্যাহত থাকে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট। ৮ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন পণ্যবাহী যানবাহনের মালিক-শ্রমিক নেতারা। বৈঠক শেষে ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ পণ্য পরিবাহী যানবাহনের ভাড়া বাড়ানোর আশ্বাসে ওইদিন ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।