ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বর্তমান সরকারের আমলে (২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত) ৪০ হাজার ৯২টি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নিজ দলীয় সাংসদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান নসরুল হামিদ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় এ অধিবেশন।
এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী এক বছর অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রায় ২ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৪ বছরে চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়ার্ট থেকে বর্তমানে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে বিদ্যুৎ । বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেই লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের সমন্বিত মহাপরিকল্পনা ‘ইন্ট্রিগেটেড অ্যানার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্লাণ’ প্রণয়ন করেছে, যা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
এছাড়াও সাংসদ মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার গত মেয়াদ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইতোমধ্যে শতভাগ মানুষের নিকট বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
বিগত ১৪ বছরে মোট ২০ হাজার ৯৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।