ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: “নতুন বছরে, নতুন প্রত্যাশা: জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির স্বপ্ন দেখি” এমন প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রামে নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির দাবিতে বিশেষ প্রচারণা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) যৌথ ভাবে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এ ক্যাম্পেইন করে।
ক্যাম্পেইনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব এবং জীবাশ্ম জ্বালানির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বাংলাদেশ গড়তে পারি। এটি শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্যাম্পেইন চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করেন এবং সরকারের কাছে এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সাধারণ জনগণকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানান।
ক্যাম্পেইনটি সফল ভাবে সমাপ্ত হয় এবং আয়োজকরা ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কার্যক্রম পরিচালনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যা দেশের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রচারণা কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেল এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব ৭ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি এম এ আওয়াল শাহীন, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, যুব গ্রুপ সদস্য এমদাদুল ইসলাম, সিদরাতুল মুনতাহা, নাফিসা নবী, ছাত্র নেতা রাসেল উদ্দীন, সিদরাতুল মুনতাহা, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের আবু হাসান আজমী প্রমুখ।
প্রচারাভিযানে দাবি করা হয়, পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটাপন্ন অঞ্চল হিসাবে এখানে জ্বালানী খাতে অনেকগুলো প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যেখানে পরিবেশের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। এর বাইরে দেশের অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণের কারণে এ সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানীভিত্তিক প্রকল্পের জন্য জ্বালানী আমদানিতে বিপুল বৈদশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়।
তাই এই জ্বীবাশ্ম জালানীভিত্তিক প্রকল্পের ক্ষতিকারক বিষয়ে প্রচারণা এবং সরকারকে জীবাশ্ম জ্বালানীভিত্তিক সব প্রকল্প বাতিল করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচারণা চালানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।