ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে চলতি ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সামনের দিনগুলো বা আগামী গ্রীষ্মের জন্য বিদ্যুৎ খাতে প্রস্তুতি কেমন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দুইটারই পরিস্থিতি ভালো। সামনের বারের প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছি আমরা। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ধীরে ধীরে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন মাসে… আমরা আশা করছি সামনের বছর বিদ্যুতের চাহিদা এই বছর থেকে ৮ থেকে ১০ শতাংশ বাড়বে। এটা একটা বড় বিষয়। এটাকে সামনে ধরে আমরা সেভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি। এখন বাকিটা নির্ভর করছে বহির্বিশ্বের ওপর, সেখানে জ্বালানি সংকট হলে আমরা বিপদে পড়বো। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে কোনো সমস্যা হবে না।’
বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসলে খরচ কমে যাবে কি না- এ বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের একটা বিষয় চিন্তা করতে হবে, আমরা যখন বড় প্ল্যান্টগুলোর হিসাব করেছি তখন ৭০ থেকে ৭৫ ডলার কয়লা হিসাব করলাম। এখন ৯০ ডলার করে আমরা কয়লার হিসাব (দাম) পাচ্ছি। কিন্তু তখন ডলারের দাম তো ধরেছিলাম ৭৫ টাকা; এখন ১৪০ টাকা, ১২৫-১৩০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। ডলারের দামে একটা বড় ব্যবধান হয়ে গেছে। সেখানেও দামের ব্যবধান বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ডলারের দামের ব্যবধানের কারণে আমাদের তেলের দাম, গ্যাসের দাম, কয়লার বা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কাঁচামালের দামে একটা বড় ব্যবধান এসে গেছে। এগুলো দামের ওপর প্রভাব ফেলছে। সেটাই হলো মুখ্য বিষয়, যে এই চ্যালেঞ্জটা আমরা কতদিন ধরে রাখতে পারবো।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি এখনো পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়নি। এভাবে যদি থাকে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না আগামীতে।’
‘বিদ্যুৎ বন্ড’ ছাড়ার কথা ছিল- এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বলতে পারবো না। অর্থ মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।’