ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অটোমেশন কার্যক্রম অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশীয় জ্বালানির উৎপাদন ও অনুসন্ধান বাড়াতে কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। তেল পরিবহনের জন্য পাইপলাইন হচ্ছে, আরো হবে। এগুলোর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের মে ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। দেশে বিদ্যমান প্রায় ২২০০ পেট্রোল পাম্প নিয়মিত পরিদর্শন করা হয় না ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছে। তেলের অপচয় ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করতে তেল পরিবহনের যানবাহনগুলোকে নিয়মিত অডিট করা উচিত। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কাজ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে থাকলেও আরো দ্রুততার সাথে বেশি অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। প্রয়োজনে আরো রিগ ক্রয় বা ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, মে ২০২৪ পর্যন্ত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৯২.৪৫ শতাংশ। আর জাতীয় অগ্রগতি ৫৭.৫৪ শতাংশ।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করায় এ বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, প্রতিটি কাজেরই সিদ্ধান্ত দ্রুততার সাথে নিতে হবে। প্রয়োজনে ওভার ল্যাপিং করে কাজ করলে দ্রুততার সাথে সাফল্য পাওয়া যাবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম বলেন, বিগত দুই বছরের ন্যায় এ বছরও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ শতভাগের বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় সভায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থা ও কোম্পানির প্রধানগণ।