ভারত থেকে ১ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আনবে বাংলাদেশ

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাংলাদেশ ভারত থেকে এক হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

শিগগিরই এ বিদ্যুৎ দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ভারত থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আমদানির আগে নেপাল থেকে চলতি মাসে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার চুক্তি চলছে। এছাড়া ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ রয়েছে।

বর্তমানেও ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ভারত সরকার ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকার থেকে গ্যাস ও জ্বালানি তেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। আর আদানি পাওয়ারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।

সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। ২০২৫ সালে ১০ শতাংশ ও ২০৪১ সালে দেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ জন্য সরকার দেশের অভ্যন্তরে সৌরবিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বাজেটে বরাদ্দ, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়, গ্যাস উত্তোলনে ভবিষ্যত পরিকল্পনাসহ এ খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে বিদ্যুৎ বিভাগ কী প্রস্তাব করেছে তারও ধারণা দেন।

নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের বেশি দামের অন্যতম কারণ ডলারের উচ্চমূল্য। ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম কমার সম্ভবনা কম। অন্যদিকে সরকারের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনার কারণেও দাম বাড়ছে।

-এসএম